দলীয় কোন্দলের জেরে ওমর গনি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। এ ঘটনায় আবদুল হামিদ রাফি (২০) ও সালাম (১৯) নামের দুইজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। দুজনই দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাফি মাথায় এবং সালামকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান। তিনি বলেন, এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কাউন্সিলর ওয়াসিমের অনুসারি দুটি গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই গ্রুপের উপ-গ্রুপের মধ্যেই ঘটনা ঘটেছে।
খুলশী থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) সাহেদ খান বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়ার আগেই দুই পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন, এক পক্ষ ফুটবল খেলা ঘিরে সংঘর্ষ হয়েছে, আবার আগে থেকেই ক্ষোভের জেরে ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি চসিক কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপের মধ্যে নিজেদের উপ-দলীয় কোন্দলের জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ক্যাম্পাসে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে। আহত রাফি ও সালাম চমেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। এ হামলায় ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারি আল আমিন, বাপ্পী, শাওন ও ফাহিমকে দায়ী করছেন হামলায় আহতরা। আরো জানা গেছে, কলেজে প্রতিদিনই নিয়ম করে জুনিয়র কর্মীদের ব্রিফিং করেন সিনিয়র ছাত্রলীগ কর্মীরা। সালাম ও রাফিরা প্রতিদিনের মত কলেজ শেষে প্রথম বর্ষের কর্মীদের নিয়ে ব্রিফিং দিচ্ছিলেন। ওই সময়েই অতর্কিত একটি ফাঁকা গুলি করা হয়। অন্যদিকে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম