চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। এবার ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন দুই লাখ ৫৬ শিক্ষার্থী। অভিভাবক ও শিক্ষার্থী এ সময়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েন থাকা ও যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে। অনেক শিক্ষার্থীরা শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে যাবেন, তা চিনেন না। ফলে নানা দুর্ভোগ আর ঝামেলার মুখে পড়তে হয়। এসব কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করে আসছেন ‘ফ্রি বাস সার্ভিস’। এতে করে সহজ যাতায়াত ও নিশ্চিন্তে ক্যাম্পাসে পৌঁছে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসহাব উদ্দীন বলেন, উপজেলা পর্যায়ে থেকে যারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসেন, তারা অনেক কিছু চেনেন না, জানেন না। যাতায়াতে সমস্যা তো থাকেই। বেশ কয়েক বছর ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময়ে শিক্ষার্থীদের ফ্রি বাস সার্ভিস দিয়ে আসছেন। এতে করে গ্রাম থেকে যারা আসছেন, তাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে না। নিরাপদে তারা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন, আবার পরীক্ষা শেষে একই গাড়িতে নিজ গন্তব্যে ফিরছেন। এভাবে একে অপরের পাশে এগিয়ে আসলে সমাজ ও রাষ্ট্র অনেক বেশি উন্নত হবে।
জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য নগরের চকবাজার গুলজার মোড় থেকে ফ্রি বাস সার্ভিস দিয়ে আসছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান সিআইপি। বাঁশখালী স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ৬ বছর ধরে তিনি এ আয়োজন করে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ, বি, সি ও ডি ইউনিটের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আসার পাশাপাশি তাদের জন্য থাকে শুভেচ্ছা উপহারও।
একইভাবে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম চৌধুরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কর্ণফুলী উপজেলার স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য মইজ্জ্যারটেক এলাকা থেকে বাস সার্ভিস দেন। চন্দনাইশ উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য এ আয়োজন করে আসছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য কৈয়ুম চৌধুরী। পাশাপাশি যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবুর সহযোগিতায় নগরীর হালিশহর বিডিআর মাঠ থেকে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে বিনামূল্যে থাকা ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, আমরা নিজেরাও একটা সময় এরকম পরীক্ষার্থী ছিলাম। তাই আমরা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারি এসময় সংশ্লিষ্ট মানুষগুলো কতটা চিন্তায় থাকে। আমরা মেয়েদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন হোটেলে ও ছেলেদের হলে থাকার ব্যবস্থা করেছি। এলাকাভিত্তিক যারা স্থানীয় তাদের জন্য বিনামূল্যে আমরা ‘ফ্রি বাস সার্ভিস’র ব্যবস্থা করেছি। আমাদের বিনামূল্যে এই বাস সার্ভিস পাবেন হাজারের অধিক শিক্ষার্থী। এছাড়াও এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা আমরা করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই