চট্টগ্রাম-১০ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। কিন্তু ইতিমধ্যে দলটির লোকজন আমার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করেছে। এটা অশুভ ইঙ্গিত। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও হত্যাসহ নানা ধরনের নির্যাতন ও আক্রমণ শুরু করেছে। এসব ঘটনা একটি অশনি সংকেত।’
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেসে’ তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে দাবি করে বাচ্চু বলেন, ‘চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের পর এ বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের প্রথম দিকে বাংলাদেশে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণপন্থি বিএনপি ও ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি বিদেশি অপশক্তির সহযোগিতায় নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে।’
নির্বাচিত হলে নির্বাচনী এলাকাকে মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন জানিয়ে বাচ্চু বলেন, ‘এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও আগ্রহের সম্পূরক হিসেবে নিজেকে নিবেদিত রাখবো।’
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বিএনপি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করেছে। দোকানদার ও নিরাপত্তা কর্মীদেরও ছাড়েনি। আগামীতে বিএনপি-জামায়াতের এসব অপকর্ম মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত থাকবে। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপি মামলা করেছে। মামলাটি আমরা দলীয়ভাবে মোকাবিলা করবো।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, মহানগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কোষাধ্যক্ষ আবদুস ছালাম, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই