চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পগুলোর কর্তৃপক্ষ এর কারণ চিহ্নিত করবে। এরপর সব সেবা সংস্থা সমন্বিত উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তঃদপ্তর সমুহের সঙ্গে সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনওয়ার পাশা, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেন খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব মো. মিনহাজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু রায়হান দোলন, পুলিশের এডিশনাল কমিশনার এম এ মাসুদ, সিডিএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, মেগা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী শওকত ইবনে শহীদ। সভা সঞ্চালনা করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
সভায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে জলাবদ্ধতা বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর মোবারক আলী, শৈবাল দাস সুমন, আবদুল মান্নান ও মো. এসরারুল হক।
চসিক মেয়র বলেন, সবগুলো সেবা সংস্থার সমন্বয় ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন করা কোনো মতেই সম্ভব নয়। বরং সমন্বয়ের অভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের চলমান প্রকল্পের সুফল ম্নান হচ্ছে। আমরা কারো বিরুদ্ধে কোনো কথা বলব না, এখন থেকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এটাই সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, সব সময় বলা হচ্ছে ২১ খালের অবস্থা বেহাল। একই সঙ্গে নালা নর্দমা ও ড্রেনগুলো অপরিস্কারের কথাও বলা হচ্ছে। কিন্তু ২১ খালের মধ্যে এখন অধিকাংশ খালই অস্তিত্বহীন। এগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এ জন্য খালগুলো নিয়ে সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছি। তাছাড়া, চসিকের উদ্যোগে নালা নর্দমাগুলো নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছে।
ওয়াসার চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলে এর সুফল মিলবে না।
সিডিএর মেগা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, প্রকল্পের ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৬টি খালের কাজও শতভাগ শেষ। কিন্তু সংস্কারকৃত খাল এবং নালাগুলো নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। না হয় জলাবদ্ধতা কোনো দিনই কমবে না।
বিডি প্রতিদিন/এএম