শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু পুনঃরায় চালুর পর সেখানে ঝলমলে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাতির আলোয় আলোকিত হল সেতুর ওয়াকওয়ে। সবার নজর কাড়ছে সেতুর ওপরের ল্যাম্প পোস্টের বিচ্ছুরিত আলো। তবে সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়কে আলোর ব্যবস্থা না করায় অন্ধকার হয়ে থাকে। এ নিয়ে রাতের বেলায় পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। অনেকে মোবাইলের বাতি ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন।
কালুরঘাট সেতু দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়ার অধিকাংশ মানুষ শহরে যাতায়াত করেন। মেরামতের জন্য গত ১৫ মাস বন্ধ থাকার পর প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে গত ২৭ অক্টোবর সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, সেতুর ওপর আগে মাত্র কয়েকটা লাইট ছিল। এখন পুরো সেতু ঝলমলে আলোকিত করা হয়েছে। কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়কে বাতি এখনও লাগানো হয়নি। তবে গতকাল বিকালে বোয়ালখালী প্রান্তে দুটি বাতি লাগানো হয়েছে। বাকি আরও প্রয়োজনীয় লাইট লাগানো হবে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হয়েছে। বিষয়টা আমাদের বিবেচনায় আছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে প্রায় ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্টিলের কাঠামোর কালুরঘাট রেলসেতু নির্মিত হয়। ১৯৬২ সালে যান চলাচল শুরু হয়। এর আগে দুবার সংস্কার করা হয়েছিল। কালুরঘাট রেলসেতুর বয়স এখন ৯৩ বছর। গত বছরের ১ আগস্ট থেকে সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। বুয়েটের পরামর্শে প্রায় ৪৩ কোটি টাকায় সেতুর এ সংস্কার করা হয়। এরপর এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে এ রুট দিয়ে তিন জোড়া রেল এবং দোহাজারী পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানিবাহী ট্রেন চলাচল করে। কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচলে আপাতত কোনো টোল নেওয়া হচ্ছে না। সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৮ ফুট উচ্চতার সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে। তবে ট্রাক-বাসের মত ভারী যান চলাচল করতে পারবে না।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল