তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘মনোনয়ন বাণিজ্যের’ অভিযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর আন্দরকিল্লায় আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, “আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে এসে দেড় শতাধিক লোক আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের ২ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়।
এদিকে, হামলায় ঘটনায় টিনশেড কার্যালয়ের ভেতরে অনেকগুলো চেয়ার ভাঙার পাশাপাশি অনেক ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। কার্যালয়ের এখানে-ওখানে ছড়িয়ে আছে পাথর ও ইটের টুকরো।
আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের অ্যাডহক কমিটির সদস্য তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, পশ্চিম পটিয়া ও আনোয়ার উপজেলার মোট ১৬ ইউনিয়নের তৃণমূল কর্মীদের ‘ভোটে মনোনীতদের’ একটি তালিকা গত ১৩ এপ্রিল জেলা আওয়ামী লীগের হাতে দেন তারা। তারপরও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান তৃণমূলের নির্বাচিতদের বাদ দিয়ে নিজেদের মতো করে আজ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার ডাকেন। মনোনয়ন বাণিজ্যের খবর পেয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গেলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করে।”
এসময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
এদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, “ইউনিয়ন ও থানা থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে প্রার্থী বাছাই করা হয়নি। আজ মনোয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার ছিল।”
তবে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “সাক্ষাৎকার নেওয়া মানে তো মনোনয়ন দিয়ে দেওয়া নয়। মনোনয়ন দেবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।”
বিডি-প্রতিদিন/১৫ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব