সম্পূরক বাজেট পাশের ক্ষেত্রে সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। বর্তমানে যে ভাবে খরচ করে সম্পূরক বাজটে পাশ করার জন্য সংসদে পেশ করা হয় তা অসাংবিধানিক। আয়-ব্যয়ের বিল পাশ করার ক্ষমতা একমাত্র সংসদের। কিন্তু তার আগেই টাকা খরচ করা হয়ে যাচ্ছে। তিনি এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংসদ ও অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংসদে ২০১৫-১৬ সালের সম্পূরক বাজেট সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার দলীয় এমপি মহিউদ্দীন খান আলমগীর এ বিষয়ে সংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া বিরোধী দলের সদস্যরা বাজেট বাস্তবায়ন ও আর্থিক খাতে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল, জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম মিলন, স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী।
ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বাজেটে পরিবর্তন-পরিমার্জনের এখতিয়ার সংসদের। কিন্তু ৩৮টি মন্ত্রণালয় সংসদের অনুমোদন না নিয়ে আগেই টাকা ব্যয় করে ফেলেছে। আমাদের বাজেট পেশে করার সময় যে সম্পূরক বাজেট দেওয়া হয়। সেটিতে যা ঘটার আগেই ঘটে আমাদের কাছে সংশোধনী আসে। এতে কিছু করার থাকে না। আগামীতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দেবেন।
বাজেট বাস্তবায়নে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান বলেন, গঠিত কমিশন বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করবে এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন