বাংলাদেশে ‘অনাদায়ী ফেলে যাওয়া সম্পদ’ ফেরত স্বরূপ পাকিস্তানের হাজার কোটি রুপির দাবির বিষয়টি অবান্তর ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বুধবার বেলা ১২টায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের কাছে স্বাধীনতার আগে আমাদের পাওনা দাবি করায় তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উল্টো মিথ্যা দাবির আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, ওই সময়ে পাকিস্তানের মোট আয়ের বেশিরভাগই আসতো বাংলাদেশ থেকে। আদমজী জুট মিলসহ অন্যান্য কল কারখানার আয় ছিল তাদের আয়ের মূল উৎস।
এর আগে, বাংলাদেশে ‘অনাদায়ী ফেলে যাওয়া সম্পদ’ ফেরতের দাবি করে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি দাবি করে পাকিস্তান সরকার। মঙ্গলাবার পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান দেশটির সব বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য চিঠি দিয়েছে। তাদের বাংলাদেশের কাছে থেকে পাওনা নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের কাছ থেকেও অনাদায়ী সম্পদ ফেরত চায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের দাবি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জমি, ভবন, আসবাব, অফিসের ব্যবহার নানা দ্রব্য, যানবাহন, সরকারি বন্ড, ঋণ, বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ এখন দাঁড়িয়েছে ৯২১ কোটি রুপি। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত এসব সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করেছে পাকিস্তান। ভারতের কাছে তাদের প্রাপ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ কোটি রুপি।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব