‘চট্টগ্রাম বন্দর ডাকাতদের হাতে জিম্মি’ বলা হলেও এর উন্নয়ন অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বুধবার ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট মাঠে নবনির্মিত ট্রেনিজ হোস্টেল ভবনের উদ্বোধন ও ১৬তম ব্যাচের পাসিং আউট অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, একসময় বন্দরের কোন উন্নয়ন হয়নি, নদীপথের কোন উন্নয়ন হয়নি। এখন আর এই অবস্থা নেই। বন্দরের হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর গত ৮ বছরে ২২ ধাপ এগিয়ে এসেছে। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে চট্টগাম বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ‘চট্টগ্রাম বন্দর পাঁচ ডাকাতের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে’ মন্তব্যের ফলে এসব কথা বলেন নৌমন্ত্রী।
বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে নৌ সংস্থাগুলোতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির মতো সংস্থার মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি নৌপথ উদ্ধার করা গেছে। আগে নদী খননের জন্য আমাদের তেমন কোন ড্রেজার ছিল না, এখন ২১টি ড্রেজার আছে। আরও ২০টি কেনা হবে।
মেরিটাইম ইন্সটিটিউট নাবিকদের উদ্দেশে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ব্লু-ইকোনমি আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তাই এ খাতে অর্থ উপার্জনের জন্য নাবিকদের এগিয়ে আসতে হবে। বেকার নাবিকদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে ৩৬টি জাহাজ সংগ্রহ করা হবে। এটি করা গেলে এখানে নাবিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল। স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম।
নাবিক প্রশিক্ষণার্থীদের সুষ্ঠু আবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ৩০০ প্রশিক্ষণার্থীর আবাসন সুবিধার জন্য ৬তলা বিশিষ্ট এ হোস্টেল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। নবনির্মিত ট্রেনিজ হোস্টেল ভবনের নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ব্লক’।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ-২০