বিশ্বখ্যাত ‘ভোগ’ সাময়িকীর প্রচ্ছদকন্যা রাউধা আতিফ আত্মহত্যা করেছেন বলে তার লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আজ শনিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে তিন সদস্যর একটি দল মডেল রাউধার লাশের ময়না তদন্ত করেন।
ময়না তদন্তকারী টিমের প্রধান ডা. মনসুর রহমান জানান, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন রামেকের ফরেনসিক বিভাগে দাখিল করা হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ সেটি নিয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণে রাউধার মৃত্যু হয়েছে। তাকে ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি। তবে ভিসেরা পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। সেটি পেলে জানা যাবে- মৃত্যুর আগে রাউধা বিষাক্ত কিছু খেয়েছিলেন কি না।
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল থেকে এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাউধার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাউধার বাড়ি মালদ্বীপের মালেতে। তার বাবা মোহাম্মদ আতিফ পেশায় একজন চিকিৎসক।
২০১৬ সালের অক্টোবরে বিখ্যাত ‘ভোগ ইন্ডিয়া’ সাময়িকীর নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সংখ্যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘বৈচিত্রের সৌন্দর্য উদযাপন’ (সেলিব্রটিং বিউটি ইন ডাইভার্সিটি) শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছিলেন মালদ্বীপের নীলনয়না এই মডেল। উঠতি মডেল হিসেবে মাত্র ২০ বছর বয়সী রাউধার রয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি।
তবে শখের মডেলিং ছেড়ে পছন্দের ডাক্তারি পড়তে তিনি এসেছিলেন রাজশাহী। রাউধার লাশ উদ্ধারের দিন নগরীর শাহ মখদুম থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি।
তবে সেই কমিটি এখনও তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। শনিবার দুপুরে রাজশাহীর হেতেমখাঁ কবরস্থানে রাউধাকে দাফন করা হয়েছে। এ সময় মালদ্বীপের রাষ্টদূতসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/১ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম