বরিশালে সবজির বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত সপ্তাহে বরিশাল নগরীতে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা। অথচ বৃষ্টির অযুহাতে এখন খুঁচরা বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। একইভাবে গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে দেড়শ টাকায়। এভাবে বৃষ্টির অযুহাতে খুঁচরা বাজারে বেড়েছে প্রতিটি সবজির দাম।
দোকানিরা জানান, চলতি মৌসুমে অতি বর্ষণে স্থানীয় সবজির আবাদ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। একই কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে সবজির সরবরাহ কম। ফলে খুঁচরা বিক্রেতারা মোকামে চাহিদা অনুযায়ী সবজি পাচ্ছেন না। ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে নগরীর কাঁচা বাজারগুলোতে। এমন কোন সবজি নেই, যার দাম বাড়েনি।
আগামী ঈদুল আযহার আগে এই সংকটের সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও আভাস দিয়েছেন তারা। এর আগে ভারি কিংবা অতিবর্ষণ হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দোকানিরা। তবে সবজির মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের এই অযুহাতের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন স্থানীয় কৃষি অধিদফতর ও আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০ টাকার বেগুন এখন ৬৫ টাকা। চিচিঙ্গার কেজি ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। একই হারে দাম বেড়েছে বরবটির। গতকাল নগরীর কাঁচা বাজারে কাকরল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা।
সবজির মূল্যবৃদ্ধির অযুহাতের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের অতিবৃষ্টির দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক ইউসুফ। তিনি বলেন, গত জুলাইয়ে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল ৪৬৫ থেকে ৫৭০ মিলিমিটার। পুরো মাসে বৃষ্টি হয়েছে ৫৪২ মিলিমিটার। সে হিসেবে বরিশালে অতিবৃষ্টি হয়নি।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মামুন বলেন, গতমাসে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক। এ বৃষ্টিতে দক্ষিণাঞ্চলে সবজি আবাদে কোন ক্ষতি হয়নি। তবে উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে সেখানে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ওই বন্যাকে পুঁজি করে বরিশালের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
বিডি প্রতিদিন/০৪ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত