বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষার জন্য ১ হাজারের বেশি পিপিই (সুরক্ষা সরঞ্জাম) এসেছে। শনিবার এসব সুরক্ষা সরঞ্জাম হাসপাতালে এসে পৌঁছেছে। এরপরই এসব সুরক্ষা সরঞ্জাম চিকিৎসক ও নার্সদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এতে খুশি চিকিৎসক ও নার্সরা। এখন অনেকটা ঝুঁক্তিমুক্তভাবে রোগীদের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে বরিশাল বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা আড়াই হাজারের বেশি প্রবাসীর প্রায় অর্ধেক কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়েছেন। অপরদিকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে করোনা সন্দেহে চিকিৎসাধীন ৫ রোগী করোনায় আক্রান্ত কিনা তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
শের-ই বাংলা মেডিকেলের আবাসিক সার্জন জেনারেল ডা. সৌরভ সুতার জানান, করোনা ঝুঁকির মধ্যেও এতদিন তারা পিপিই ছাড়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এতে তারা এবং রোগীরা কেউই নিরাপদ ছিলেন না। অনেক সময় চিকিৎসা দিয়ে রোগীকেও সন্তুষ্ট করা যায়নি। এখন পিপিই পাওয়ায় চিকিৎসকরা আরও সুরক্ষিত হলেন। এতে বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসার মান আরও বাড়বে এবং রোগীরাও খুশি হবে বলে মনে করেন তিনি।
হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেন্ডেন্ট সেলিনা পারভীন জানান, চিকিৎসক চিকিৎসা দেন। সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেন নার্সরা। কিন্তু এতদিন পিপিই ছাড়া নার্সরা ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা করেছেন। এখন পিপিই পাওয়ায় চিকিৎসক ও নার্স সবাই অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত হবে বলে তিনি মনে করেন।
শের-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মোট ১ হাজার ১৭০টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। হাতে পাওয়ার পরপরই পিপিই চিকিৎসক ও নার্সদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চিকিৎসকদের আসা-যাওয়ার জন্য দুটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, চলতি মার্চে দেশে ফেরা বরিশাল বিভাগের ২ হাজার ৭শ ৫৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ১ হাজার ২০৩ জনকে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা কিংবা মুক্ত হওয়া কারো শরীরে করোনা সংক্রমণের কোন উপসর্গ পাওয়া যায়নি। করোনা সন্দেহে শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে ভর্তি থাকা ৫ রোগীর মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত কিনা তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
তিনি জানান, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৫ রোগীর বিভিন্ন উপসর্গ কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ উপসর্গ অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন