বরিশালে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে দোকান খোলা রাখা এবং অবৈধ গণজমায়েত করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সৃষ্টি করায় ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময় একই সাথে ১৪ জন ক্রেতা সমাগম করায় একটি দোকান সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান, শরীফ মো. হেলাল উদ্দিন ও মো. আতাউর রাব্বীর নেতৃত্বে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, কাটপট্টি ও গীর্জা মহল্লা এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
করোনা সংক্রামন এড়াতে গত ১৯ মে থেকে ঈদ কেন্দ্রিক দোকান মার্কেট বন্ধের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু এর পরও প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে অনেক ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রেখে গনজমায়েত সৃষ্টি করছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, কাটপট্টি ও গীর্জা মহল্লা এলাকায় দোকান খোলা রেখে গনজমায়েত করেন দোকানীরা।
বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, তারা নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছেন। দোকান খোলা না থাকলে তারা কেনাকাটা করতে আসতেন না। তবে দোকানীরা দোকান খোলা রাখার বিষয় কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এদিকে সরকারি নির্দেশ অমান্যকরে দোকান খোলা রাখা এবং অবৈধ গনমাজায়েত করার দায়ে নগরীর চক বাজার, বাজার রোড, কাটপট্টি ও গীর্জা মহল্লা এলাকায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমান আদালত। নগরীর চকবাজার এলাকায় একপ্রান্তে ভ্রাম্যমান আদালত ঢুকলে অপর মাফের সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়। আবার ভ্রাম্যমান আদালত অপরপ্রান্তে গেলে আরেক প্রান্তের দোকান খুলে দিব্যি বেঁচা বিক্রি করে দোকানারীরা। এভাবে চোর-পুলিশ খেলার মধ্যেই চলে ঈদের বেঁচাকেনা এবং ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।
সরকারি নির্দেশ অমান্য এবং দোকান খোলা রেখে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করায় নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, কাঠপট্টি ও গীর্জা মহল্লার এলাকার ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৮১ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসনের পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় বারবার সতর্ক করার পরও দোকান খোলা রেখে একই সাথে ১৪জন ক্রেতা সমাগম করায় নগরীর গীর্জামহল্লা রোডের বৈশাখী নামে একটি তৈরী পোশাকের দোকান সিলগালা করেদেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।
জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার