রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানা করোনাকালীন লকডাউনে বন্ধ রয়েছে। দর্শনার্থীদের হাকডাক না থাকায় বাঘ, সিংহ, হরিণসহ প্রায় সোয়া দুই’শ প্রাণী কোলাহল মুক্ত এক 'বন্য পরিবেশে' সময় কাটাচ্ছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩৩ প্রজাতির ২২৫ প্রাণী রয়েছে। চিড়িয়াখানায় যে সব প্রাণী রয়েছে সেগুলো হল, সিংহ দুটি, বাঘ ১টি, জলহস্তি ৩ টি, ময়ুর ৮টি হরিণ ৫৯ টি,অজগর সাপ দুটি,ইমু ৩টি,উটপাখি ১টি, বানর ৯টি, কেশওয়ারি ৩টি, গাধা ৩টি, ঘোড়া ২টি ও একটি ভাল্লুক। দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানের মধ্যে রংপুরে একটি। এছাড়া গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা থেকে ৮ ময়ূর ও ২টি জলহস্তি আনা হয়েছে।
প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকার ৮৯ সালে গড়ে তোলেন রংপুর চিড়িয়াখানটি। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ৯২ সালে খুলে দেয়া হয়। প্রায় ২১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটি। প্রতিদিন এখানে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হত। গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় চিড়িয়াখানাটি। এর পরে কিছু দিনের জন্য খোলা হলেও দ্বিতীয় দফা সর্বত্মক লকডাউনের কারণে আবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানা রয়েছে। একটি ঢাকায় অপরটি রংপুরে। শুক্রবার সকালে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি খাচার প্রাণীরা কোলাহলমুক্ত পরিবেশে রয়েছে।
রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী জানান, লকডাউনের কারণে এখন প্রাণীরা কোলাহল মুক্ত পরিবেশে রয়েছে। খাবার সময় শুধু তাদের খাবার দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল