গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ নদের উপর নির্মিত টঙ্গী ব্রিজের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং ভেঙে পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন অংশ। এরপর ওই ব্রিজ দিয়ে ঢাকাগামী সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বিকল্প সড়ক হিসেবে টঙ্গী কামারপাড়া রোড ব্যবহার করলেও কমেনি দুর্ভোগ।
এরপর শুক্রবার থেকে টঙ্গী ব্রিজের পশ্চিম পাশে নদের উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। তবে সরু বেইলি ব্রিজ দিয়ে গাড়ি চলাচলের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সেতু কর্তৃপক্ষ বলছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিজটি সচল হবে।
সরেজমিন জানা যায়, টঙ্গী তুরাগ নদের উপর নির্মিত টঙ্গী-আব্দুল্লাপুর সংযোগ সড়কে দুইটি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে আগের একটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং বড় বড় গর্তসহ বিভিন্ন অংশ ধসে পড়তে শুরু করেছে। অপর সেতুটির উপর দিয়ে উড়াল সেতুর কাজ চলমান থাকায় সেতুটির যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকল্প হিসেবে সেতু দুইটির পশ্চিম পাশে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করেন বিআরটিএ প্রকল্প।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে পূর্ব পাশের সেতুটির বিভিন্ন অংশ ধসে পড়তে শুরু করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গত চারদিনের টানা যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল করছে।
অপরদিকে, গাজীপুরগামী যানবাহন কামারপাড়া ব্রিজ হয়ে মন্নুগেট দিয়ে প্রবেশ করছে। অচল সেতুটি সংস্কারের কাজ শুরু করলেও উপরের অংশ আরো বড় গর্তে পরিণত হয়ে ধসে পড়ছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, একটু জ্যাম আছে। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ার কারণে জ্যামটা একটু বেশি। বৃষ্টি না থাকলে জ্যাম থাকবে না। পুলিশ যানজটরোধে রাস্তায় কাজ করছে। নদের উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটিও ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। কয়েকদিন পর পর ব্রিজের উপর লোহার স্ল্যাভ সরে যায় এবং স্প্রিং খুলে যায়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এদিকে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ’র (বিবিএ-পার্ট) প্রকল্প পরিচালক লিয়াকত আলী।
বিডি প্রতিদিন/এমআই