২৮ জুন, ২০২২ ১৮:২১

কোরবানির পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে হিসাব-নিকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

কোরবানির পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে হিসাব-নিকাশ

রংপুরে কোরবানির পশুর দাম কমবে, নাকি বেশি হবে এনিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। গত বছর করোনার কারণে প্রশাসন গরুর হাট সীমিত আকারে খোলা রাখলেও এবারে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবার আগে-ভাগেই ইজারাদাররা হাট প্রস্তুত করে রেখেছেন। খামারি ও গৃহস্থরা আশা করছেন, এবার গত বছরের চেয়ে গরুর দাম বেশি হবে। অপরদিকে ক্রেতারা মনে করছেন এবার উদ্বৃত্ত গরু রয়েছে, তাই দাম কিছুটা কমতে পারে।

পশুর হাট বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা রয়েছেন সংকটে। খামারি ও ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ী চাচ্ছেন দ্রুত গরু বিক্রি করতে। অপরদিকে ক্রেতারাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে গরু কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন। ঈদের আগে গরুর হাট খুলবে কিনা এবং দাম বাড়বে, না কমবে এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে হিসাব-নিকাশ।

এদিকে, রংপুরে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অনলাইনে ১১টি পশুর হাট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। ‘পশুরহাট’ নামে একটি অনলাইন পেজ খুলে এই হাট চালু করবে দুই একদিনের মধ্যে। এই অনলাইন পেজে গরু পালনকারীদের পশুর ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য থাকবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর আশাবাদী এই অনলাইন গরুর হাটে সারা পাওয়া যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলায় ছোটবড় মিলিয়ে অর্ধশত গরুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে বড় ৪টি। এসব হাটে প্রচুর গরু বিক্রি হয়। ক্রেতাদের মধ্যে অনেকে আগে-ভাগে কোরবানির গরু কিনতে চায় কিছু কম দামে। অপরদিকে পশু মালিকরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় বসে রয়েছেন। তাদের মতে, ঈদের আগে আরও অনেক হাট পাওয়া যাবে, সে সময় বেশিদামে বিক্রি করতে পারবে। তবে বিক্রেতাদের কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন ঈদের আগে পশুর দাম কমে যেতে পারে।

রংপুরের বড় বড় পশুর হাটগুলো হচ্ছে-লালবাগ, বুড়িরহাট, তারাগঞ্জ, পাগলাপীরহাট, বড়াইবাড়িহাট, চৌধুরানির হাট, নজিরেরহাট, পাওটানাহাট, কান্দিরহাট, সৈয়দপুরহাট, দেউতি, মিঠাপুকুর, বৈরাতি, জায়গিরহাট, শঠিবাড়ি, বালুয়াহাট, মাদারগঞ্জহাট ও ভেন্ডাবাড়িহাট ইত্যাদি।

জেলার কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের মাহামুদুল হাসান, নগরীর রবাটসনগঞ্জ পাটবাড়ি এলাকার হজরত আলী, রবিউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন খামারি জানান, গরু বিক্রি করতে পারলেও ন্যায্য দাম পাবেন কিনা, এ নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। গরুর দাম বেশি হবে, না কমে যাবে, তারা তা বুঝতে পারছেন না। একই অবস্থা ক্রেতাদের বেলায়। তাদের অনেকেই আগাম গরু কেনার ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিলেও এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

রংপুর প্রাণি সম্পদ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, এবার চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত পশু রয়েছে। এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠানো যাবে। করোনার কারণে খামারিরা হাটে যেতে না পারলে তাদের জন্য অনলাইন পশুর হাট খোলা হচ্ছে। অনলাইন এই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কোরবানির গরু কেনাবেচা করতে পারবেন। অনলাইন হাটে সারা পাবেন বলে আশাবাদী তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর