২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২০:৫৮

রাজশাহীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মানে সন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মানে সন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব

রাজশাহীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মানে সন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নে এ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। 

পরিদর্শনকালে তিনি আশ্রয়ণের সুফলভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় আশ্রয়ণে বসবাসরত আদিবাসী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, ধর্মান্তরিত অসহায় ব্যক্তি, স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায় বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সুফলভোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভূমি ও গৃহহীনদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন। দুই শতক জমি ও দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর, যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা করে আপনাদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের।’

সুফলভোগীদের বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘সরকার সবসময় অসহায় মানুষের পাশে আছে, থাকবে। মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রকল্পটি গৃহহীনদের গৃহ প্রদানের পাশাপাশি দুই শতক জমির মালিকানা, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন সুবিধাসহ উন্নত জীবন-যাপনের সুযোগ করে দিয়েছে।’

এ সময় জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম হলো দেশকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসন খাস জমি চিহ্নিত করে অবৈধ দখল জমি উদ্ধারের মাধ্যমে গৃহহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। সবাইকে ঘর প্রদানের মাধ্যমে গোদাগাড়ীসহ রাজশাহী জেলাকে ভূমিহীনমুক্ত করার জন্য কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক, গোদাগাড়ী উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানে আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোদাগাড়ী মো. সবুজ হাসান, পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন।

গোদাগাড়ীর ইউনিয়নের পাকড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রয় পাওয়া ভূমিহীন আদিবাসী সুন্দরী মাদরী বলেন, ‘আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি কোনো দিন নিজের জমিতে ঘরে ঘুমাতে পারব। আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাকে ধন্যবাদ জানাই।’

গোদাগাড়ী উপজেলা পাকড়ী ইউনিয়নের পাকড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়া হাসু বলেন, ‘আমরা সরকারি জায়গায় কোনোমতে দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করতাম। আমাদের নিজেদের কোনো জমি বা বাড়ি ছিল না। আমরা আশ্রয়হীন ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন, পাকা বাড়ি করে দিয়েছেন। এমন প্রধানমন্ত্রীই আমরা চাই।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর