জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণের ছাত্র সমাবেশে ৫ লাখ শিক্ষার্থীর মহামিলন মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ। ইতোমধ্যে সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা স্মরণকালের বৃহত্তম ছাত্রসমাবেশ করতে যাচ্ছি। এটি শুধু সংখ্যায় বৃহত্তম হবে না, এই ছাত্রসমাবেশের রাজনৈতিক প্রভাব রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে।’
তিনি জানান, ‘নো কম্প্রোমাইজ উইথ দ্য কিলার্স’ বার্তাটি ছাত্রসমাবেশের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আগামীকাল আমরা স্মরণকালের বৃহৎ ছাত্রসমাবেশ করতে যাচ্ছি। শুধু ছাত্রলীগের ৫ লাখ কর্মী অংশগ্রহণ ছাড়াও কয়েক লাখ সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। সব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে, যারা প্রগতিশীল রাজনীতি চর্চা করে এমন সংগঠনকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। রাজনৈতিক মতবিরোধ অনেকের থাকে, কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে কারো মতবিরোধ নেই, শেখ হাসিনার প্রশ্নে কোনো মতবিরোধ নেই, তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে সাফাই করেছে, রাজাকারের পক্ষে সাফাই করেছে এবং সামরিক স্বৈরশাসকের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে তাদের ছাড়া সব ছাত্র সংগঠনকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আজকেও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে, গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পথ খোলা রেখে তারুণ্যের মাধম্যে এটা আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছি।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মরণে স্মরণকালের ছাত্রসমাবেশ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকালের ছাত্র সমাবেশে আমরা প্রত্যাশা করছি সারা দেশ থেকে ৫ লাখ শিক্ষার্থীর মহামিলন মেলা অনুষ্ঠিত হব।
তিনি বলেন, আজকের তরুণ সমাজ প্রবলভাবে আস্থা রাখে, প্রবলভাবে বিশ্বাস করে-শেখ হাসিনা অতীতের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। আগামী নির্বাচনে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। ছাত্রসমাজ আজ এক ও ঐক্যবদ্ধ। আগামী কালকে ছাত্রসমাবেশে লাখো লাখো ছাত্রের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে একটি বার্তা পৌঁছে দেব, তরুণ সমাজ জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে ছিল, জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে আছে। কালকে ছাত্রলীগের এই সমাবেশের মাধ্যমে লাখো তরুণদের সঙ্গে নিয়ে শপথ নিতে চাই, এদেশের অপশক্তি ও অপ তৎপরতাকে রুখে দিতে তরুণ সমাজ প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ছাত্রসমাবেশ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ