২৭ মে, ২০২৪ ১৯:৩৬

মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনতাই : দুই পুলিশ সদস্যসহ তিন জনের দণ্ড

আদালত প্রতিবেদক

মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনতাই : দুই পুলিশ সদস্যসহ তিন জনের দণ্ড

প্রতীকী ছবি

মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে সাড়ে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আসামিদের প্রত্যেককে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও চার মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শাহজাহানপুর থানার তৎকালীন এএসআই মো. মনিরুল ইসলাম (৩৩), কনস্টেবেল এস এম জুলফিকার আলী (৫০) ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়া মো. নুর উদ্দিন আহম্মেদ সুমন (৪২)।

অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য আসামি মো. নিরব হাসানকে (২৬) খালাস দেওয়া হয়।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও চার মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৮৮ ধারায় চার বছর ও ৩৪২ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলায় তাদের চার বছর কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া সাজার মেয়াদ থেকে আসামিদের হাজতে থাকার সময় বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর মালিবাগ মোড় এলাকায় উবার চালক খন্দকার নুরুজ্জামানের (৫৪) গাড়ি থামান অভিযুক্ত এএসআই মনিরুল ও কনস্টেবল জুলফিকার। এ সময় তাকে তল্লাশি করার আড়ালে গাড়িতে ইয়াবা ঢুকিয়ে আটক করে তারা। পরে যাবজ্জীবন সাজা হবে এমন ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ২০ হাজার ৯০০ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন তারা। এ সময় তাদের সহায়তা করে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সুমন ও অন্য আসামি নিরব হাসান।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করলে শাজাহানপুর থানার অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক পরিচয় দানকারী সুমন ও অন্য আসামি নিরব হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর শাহজাহানপুর থানার এসআই আবু সিদ্দিক চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটের আসামিরা হলেন শাহজাহানপুর থানার এএসআই মো. মনিরুল ইসলাম, কনস্টেবেল এস এম জুলফিকার আলী, মো. নুর উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে সুমন ও মো. নিরব হাসান।

পরের বছর ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর