চলমান আন্দোলন ও সহিংসতায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীরা হাসপাতাল ছাড়তে শুরু করেছেন। কেউ স্বেচ্ছায় হাসপাতাল ছাড়ছেন। আবার কেউ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। চলমান অস্থিরতায় হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার এবং নিরাপত্তার শঙ্কায় রোগীরা হাসপাতাল ছাড়ছেন।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। নীলফামারী জেলারডিমলা উপজেলার আনোয়ারা বেগম পেটের বিভিন্ন সমস্যাসহ গত বৃহস্পতিবার রমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা করে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তিনি হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। রংপুর নগরীর খাসবাগ এলাকার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী মিনারা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তিনি দুপুরে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
হাসপাতালে এক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এ সময় কমপক্ষে ৫০ রোগী হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, চলমান সহিংসতায় হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয় এ কারণে তারা হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকট প্রকট। এখানে অর্ধেকের বেশি ২০০টির মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ খালি রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর পদ খালি রয়েছে ৮৫টির মতো। বেশকটি বিভাগের প্রফেসর পদের কোনো ডাক্তার নেই।
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বার্ন ইউনিট, নিউরো মেডিসিন বিভাগ। এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিলেও বর্তমানে রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে না। তবে চলমান পরিস্থিতির কারণে অনেকেই ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ