বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যারিস্টার নওফল জমির রচিত ‘আধুনিকতার ইতিহাস’ গ্রন্থের পাঠোন্মোচন ও আলোচনা সভা।
বইয়ের পাঠ উন্মোচন করেন সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তিনি এসময় বলেন, আধুনিকতার ইতিহাস আধুনিকতা নিয়ে নতুন প্রজন্মের একটি চিন্তা ধারা। আমরা যারা বয়োজ্যেষ্ঠ, ব্রিটিশ আমলে জন্ম, তারা পৃথিবীকে এবং বাস্তবতাকে যেভাবে দেখি আজকের প্রজন্ম সেভাবে দেখে না। সময়ের পরিক্রমা এর সবচেয়ে বড় কারণ। আমাদের সময়ে জ্ঞান অর্জন করা অনেক কঠিন ছিল। একটি বই জোগাড় করতে দূর-দূরান্তে লাইব্রেরিতে যেতে হতো, যোগাযোগ মাধ্যম ছিল ধীরগতির। বর্তমান টেকনোলজির যুগে তথ্যভাণ্ডার খতিয়ে দেখার সহজলভ্যতা বা সুযোগ আমাদের ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টেকনোলজির পাশাপাশি জ্ঞানচর্চা এবং চিন্তাধারার যে বিশাল এক পরিবর্তন এসেছে তার প্রমাণ ‘আধুনিকতার ইতিহাস’। এই বইয়ে আধুনিকতার বিষয় এসেছে।
অনুষ্ঠান সভাপতির বক্তব্যে কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, আমাদের দেশে অনেকদিন ধরেই আধুনিকতা নামক বিষয়টি চর্চা হয়ে আসছে। এই অধুনিকতা কীসের আধুনিকতা, কোথা থেকে কেনো এসেছে এই আধুনিকতা... এসব না জেনেই এক ধরনের চর্চা হয়ে আসছে। এই বিষয়ের এরকম গুরুত্বপূর্ণ বই বাংলা ভাষায় লেখা হয়নি। কঠিন বিষয়কে সহজ করে সকলের বোধগম্য করে তুলে ধরেছেন লেখক। ‘আধুনিকতার ইতিহাস’ বইটি আমাদের দেশে চর্চা হওয়া আধুনিকতা এবং বিশ্ব রাজনীতিতে প্রয়োগ হওয়া আধুনিকতার খোলস উন্মোচন করে দিয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বই পাঠের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সুজন প্রকাশনীকে ধন্যবাদ জানাই।
আলোচনা সভায় বই নিয়ে আরও কথা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক কথা সাহিত্যিক মোস্তফা মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সানিয়া সিতারা, বইয়ের লেখক ব্যারিস্টার নওফল জমির, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত