রংপুর নগরের শ্যামাসুন্দরী খালের জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরের কেরামতিয়া মসজিদ এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা। তিনি বলেন, রংপুর নগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শ্যামাসুন্দরী খালে ১১৭ জন অবৈধ দখলদারকে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। আজ থেকে তাদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। খুব শিগগির সব দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে। অভিযানে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন, রংপুর সিটি করপোরেশন, উপজেলা ভূমি কার্যালয়, ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকরা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহযোগিতা করছে।
জানা গেছে, নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে রংপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ও ডিমলার রাজা জানকী বল্লভ সেন ১৮৯০ সালে তার মা চৌধুরানী শ্যামা সুন্দরী দেবীর নামে খালটি পুনঃখনন করেন। এই খালটির পূর্বের নাম ছিল ঘোষ খাল। এটি ঘাঘট নদী থেকে শুরু করে নগরীর ধাপ পাশারী পাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, গোমস্তাপাড়া, সেনপাড়া, মুলাটোল, তেঁতুলতলা, নূরপুর, বৈরাগীপাড়া হয়ে মাহিগঞ্জের মরা ঘাঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার না করায় খালটি নাব্যতা হারিয়ে ফেলে। এর দুই ধারে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়ে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে খালের দুই পাড় বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাই প্রথমে ১১৭টি অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করে তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমএস