গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও এটিকে সমৃদ্ধ করতে প্রেস কাউন্সিল গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রেস কাউন্সিল পত্রিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছিল। এ প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করতে নতুন করে কিছু ভাবতে হবে। যেখানে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সেই সাথে সাধারণ মানুষ, পাঠক, শ্রোতা সংবাদের কারণে কোনোভাবে হয়রানির শিকার হলে তারাও এখান থেকে প্রতিকার পাবে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারী) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রেস কাউন্সিল বিভিন্ন নামে রয়েছে। সাংবাদিকদের মতামতের ভিত্তিতে প্রেস কাউন্সিলের নামকরণ করা হবে। এছাড়া অনেকে স্থায়ী মিডিয়া কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। এনিয়েও আমরা ভাবছি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গণ আন্দোলনে নিহত ৫ জন সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা আবু সাঈদের আত্মহুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। সেই সাথে বিগত ১৫ বছরে যে সমস্ত সাংবাদিক নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে তারা যেন ক্ষতিপূরণ পান সেটা আমরা চাই।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, মোস্তফা সবুজসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল