গাজীপুরের কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে। নিহতরা হলেন-মাদারীপুরের ডাসার থানার মেধাকুল এলাকার মো. নাসিরের ছেলে পিকআপ চালক মো. সাকিব (২২), খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার সোনারবাংলা গলি এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে হেলপার আল আমিন (২৪) ও সিলেটের ওসমানীনগর থানার দক্ষিণ কালনীরচর এলাকার আব্দুল নূরের ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ুম (২৬)।
এ ছাড়া অপর দুর্ঘটনায় নিহত আল-আমিন (২৯) ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার কাতলসার এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
কালীগঞ্জ থানার এস আই সুশান্ত চন্দ্র সরকার ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট থেকে ফেরার পথে শসা ভর্তি একটি পিকআপ ভ্যান গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাচ্ছিল। পথে কালীগঞ্জের নোয়াপাড়া মৈশাইর এলাকায় পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে পিকআপটি সড়কের পাশের ডোবায় পড়ে পানিতে ডুবে যায়। এতে পানিতে তলিয়ে যাওয়া গাড়ির ভিতরে আটকা পড়ে ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালক-হেলপার ও ব্যবসায়ী নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের বালীগাঁও এলাকায় দুটি সিএনজি চালিত অটো রিক্সার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আল-আমিন (২৯) নামে এক মিস্ত্রি নিহত এবং আরও চারজন আহত হয়েছে। নিহত আল-আমিন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার কাতলসার এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি নরসিংদীর সরকার টেক্সটাইল মিলে মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, তিন দিনের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে আল-আমিন গাজীপুর থেকে সিএনজি অটোরিকশায় নরসিংদী যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কালীগঞ্জ বাইপাস সড়ক হয়ে নাভানা প্লাস্টিক কারখানা এলাকা অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আল-আমিনসহ দুই সিএনজির পাঁচজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চার জনের মধ্যে দু’জন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অপর দু’জন গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ