বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সিনেটের সেই সভা ও ভিসি প্যানেল অবৈধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্ধারণ ছাড়া এবং ছাত্র-শিক্ষকদের আপত্তির মুখে ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভা অবৈধ  ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে সেই সভায় তিন সদস্যের যে উপাচার্য (ভিসি) প্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে গতকাল বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ’র হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। এ ছাড়া যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ছয় মাসের মধ্যে সিনেট গঠনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী  মোস্তাফিজুর রহমান খান। এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, রুল মঞ্জুর করে আদালত রায় দিয়েছে। ফলে ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত বিশেষ সভা ও ওই সভায় মনোনীত তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল অবৈধ। এ ছাড়া ছয় মাসের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিনেট গঠনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্ধারণ ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল মনোনয়নের জন্য ২৯ জুলাই আহূত বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বিশেষ সভার ওপর ২৪ জুলাই রুলসহ স্থগিতাদেশ জারি করে হাই কোর্ট। ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট এ আদেশ দেয়। হাই কোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল করে। এরপর হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ ৩০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ছাত্র-শিক্ষকদের প্রবল আপত্তির মুখেও এ আদেশের ফলে ২৯ জুলাই সিনেটের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তিন সদস্যের ভিসি-প্যানেল মনোনীত হয়।

উপাচার্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সিনেট কর্তৃক তিনজনকে মনোনীত করে যে প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছিল, ৩ আগস্ট আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে। একইসঙ্গে ২৯ জুলাইয়ের সিনেট বৈঠক নিয়ে হাই কোর্টের জারি করা রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর হাই কোর্টে রুলের শুনানি শুরু হয়।

এদিকে আট বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের  মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ৪ সেপ্টেম্বর ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে ‘সাময়িকভাবে’ উপাচার্যের দায়িত্ব  দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত ২৯ জুলাই সিনেট সভায় উপাচার্য নির্বাচনে  যে তিনজনের প্যানেল অনুমোদন করা হয়েছিল, সেখানে অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের নাম ছিল না।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর