বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় সমন্বয়ের অভাব রয়েছে এবং একে দুর্বলতা বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউর আবাসিক প্রধান মারিও রনকনি। তিনি বলেছেন, নাগরিক সুবিধা সবার কাছে পৌঁছাতে এ দুর্বলতা কাটাতে হবে। পাশাপাশি সরকারের নীতিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি। আর সামগ্রিকভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি বাস্তবায়নে পরিকল্পনা, সম্পদ এবং অর্থায়নে জোর দিতে হবে। এসডিজি অনগ্রসরদের জন্য। ফলে এই এজেন্ডায় অবশ্যই তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে খাতভিত্তিক পরিকল্পনা করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক সমাজ ও স্থানীয় সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এই কূটনীতিক।
গতকাল রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও অক্সফাম আয়োজিত সংলাপে এসব কথা বলেন মারিও রনকনি। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. এম. শামসুল আলম। বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, অক্সফামের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মাহফুজা আক্তার মালা এবং সিপিডির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। ড. এম. শামসুল আলম সংবাদপত্রের সমালোচনা করে বলেন, গণমাধ্যমে উন্নয়নের সংবাদ কম গুরুত্ব পায়। তারা রাজনৈতিক সংবাদে জোর দেয়। শাহীন আনাম বলেন, দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। সমাজের চাহিদা অনুসারে যুবসমাজের দক্ষতা বাড়ছে না। ফলে কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ইতিমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর সুফল সবার কাছে পৌঁছাতে হলে বৈষম্য কমাতে হবে। তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। না হলে এ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।