বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিলেট সীমান্ত দিয়ে ফের কয়লা আমদানি বন্ধ

শত কোটি টাকার এলসি নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

পঁচিশ দিন চালু থাকার পর ফের বন্ধ হয়ে গেছে সিলেট সীমান্ত দিয়ে কয়লা আমদানি। ভারতের উচ্চ  আদালতের নির্দেশে হঠাৎ করে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারাত্মকভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। এছাড়া কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক। বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

কয়লা আমদানিকারকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন খনি থেকে প্রতিদিন সিলেট বিভাগের তামাবিল, বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১০ হাজার টন কয়লা আমদানি হয়ে থাকে। মেঘালয়ের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার প্রেক্ষিতে ভারতের উচ্চ আদালত কয়েক দফা কয়লা উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মাঝেমধ্যে সীমিত সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও কয়লা আমদানির সুযোগ পেতেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যায় কয়লা আমদানি। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর আদালত মেঘালয়ের বিভিন্ন খনিতে উত্তোলনকৃত কয়লা চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানির অনুমতি প্রদান করে। আদালতের অনুমতির পর বাংলাদেশের আমদানিকারকরা এলসি করে ২২ ডিসেম্বর থেকে আমদানি শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন ভারতের উচ্চ আদালত। নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। সূত্র জানায়, সিলেটের চার সীমান্তে কয়লা পরিবহন এবং লোড-আনলোডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক। হঠাৎ করে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন তারা। আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় পরিবার নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তারা। সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি চন্দন সাহা জানান, কয়লা আমদানি করতে না পারলেও এলসি’র সুদ ব্যাংককে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে এখন কয়লা দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে মারাত্মক ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

সর্বশেষ খবর