বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

অন্যায় করলেই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনে অতি উৎসাহী হয়ে হুজুররাও অনিয়মে জড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, গত নির্বাচনে এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপালও ব্যালট পেপারে সিল মেরে তার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার চেষ্টা করেছেন। কাজেই প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাই যদি এমন করেন, কীভাবে হবে! রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, সে পর্যায়ের লোক, যেই হোক না কেন, নির্বাচনী আইন ও বিধি পরিপন্থী কোনো কাজ করলে, অন্যায় করলে তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। গতকাল নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি বলেন, ‘কে কত নিরপেক্ষ লোক যাচাই করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে নিরপেক্ষ থাকতে হবে এটাই হচ্ছে বিষয়। ২৪ ঘণ্টা আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। এমনকি ঈদের মধ্যেও সচেতন থাকতে হবে।

এ সময়ও যদি প্রার্থীদের কোনো অভিযোগ আসে, তবে আমলে নিতে হবে। নির্বাচনী আচরণ প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগে অটল থাকতে হবে।’

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনে অতি উসাহীরাই অনিয়ম করে। এই যেমন গত নির্বাচনে এক হুজুর অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, তিনি নিজেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার চেষ্টা করেছেন। কাজেই প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাই যদি এমন করেন, তবে কীভাবে হবে? অতীতে আস্থার জায়গা থেকেই অনিয়ম হয়েছে। তাই এ বিষয়ে সজাগ থেকে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

কে এম নূরুল হুদা বলেন, অনেক সময় ভোট কেন্দ্রে এজেন্টরা নিজে থেকেই যায় না। না গিয়েই অভিযোগ করে, তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবু নিরপেক্ষ থেকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রার্থীর এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রার্থীরা যেন সংক্ষুব্ধ না হন, এ জন্য নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। সিইসি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নির্বাচন কমিশনের বড় স্বপ্ন। ইভিএম ব্যবহারে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে আশা করি। তবে এ জন্য ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’ তফসিল অনুযায়ী, চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম অর্থাৎ শেষ ধাপের ভোটের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ মে, যাচাই-বাছাই ২৩ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে এবং ভোট গ্রহণ করা হবে ১৮ জুন। প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ উপজেলায় ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ১২৭ উপজেলায় ২৪ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর