বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকা মেডিকেলে দুদকের হানা

সওজ প্রকৌশলী ও স্ত্রীর নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ঢামেক হাসপাতালে এক্স-রে, এমআরআই এবং সিটি স্কানের জন্য অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগে গতকাল দুদক এই অভিযানে যায়। কমিশনের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, দুদক টিম ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখেছে, এক্স-রে করানোর ক্ষেত্রে চিকিৎসাগ্রহীতাদের কাছ থেকে রশিদের অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। এ ছাড়া এমআরআই এবং সিটি স্ক্যান করানোর ক্ষেত্রে রশিদ ছাড়াই টাকা নেওয়া হয়। হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্যরা এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের দ্রুত বদলি করা হবে বলে জানান। এ ছাড়া যেসব সেবার মূল্য তালিকা নেই তাও দ্রুত টানানো হবে বলে তিনি দুদক টিমকে আশ্বাস দেন। অন্যদিকে কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদী দখলের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। দুদকের চট্টগ্রাম-২ এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। দুদক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। দুদক জানতে পেরেছে, একজন প্রভাবশালী ওই এলাকার দখলদারদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জানান, ঈদের পরে দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদী উদ্ধার করা হবে। এ ছাড়া পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে শিক্ষকদের বদলি, পেনশন ইত্যাদির ক্ষেত্রে ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগে দুদক অভিযান চালিয়েছে। দুদক টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে পেনশনের আবেদন করা হলেও তা ফাইলে উত্থাপিত হতে এপ্রিল পর্যন্ত লেগে যায়।

স্ত্রীসহ সওজের সাবেক প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা : সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী নাসিমা জামানের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে ব্যাপক অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই দম্পতির জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ আড়াই কোটি টাকার বেশি। সম্পদের তথ্য গোপন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জন এবং দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর রমনা থানায় দুদক মামলা করে। মামলার বাদী দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুল আলম। জানা গেছে, নাসিমা জামান দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার নয় টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

এ ছাড়া তিনি দুই কোটি চার লাখ চার হাজার একশ’ আটাশ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। অন্যদিকে, এস এম কামরুজ্জামান দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩০ লাখ ৪২ হাজার ১১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। এই দম্পতিকে ২০১৩ সালের ১৩ জুন সম্পদ বিবরণীর নোটিস দেয় দুদক। তারা ওই বছরের ২৪ জুন সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদকে দাখিল করা তাদের সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান করে কমিশন জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পায় দুদক।

সর্বশেষ খবর