বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

গরু কিনলে ছাগল ফ্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গরু কিনলে ছাগল ফ্রি

মাত্র পাঁচ দিন বাদেই ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে রাজধানীর হাটগুলোতে চলে এসেছে কোরবানির পশু। সোমবার বিকাল থেকে ট্রাকে, কোথাও কোথাও পায়ে হেঁটে ঢাকায় পশু আনা শুরু করে  বেপারীরা। বেচাবিক্রিও শুরু হয়েছে। যদিও ক্রেতাদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।

গতকাল থেকে শুরু হয় মেরুল বাড্ডা আফতাবনগর হাটে গরু বিক্রি। তীব্র গরম আর তাপদাহে ক্রেতা উপস্থিতি কম থাকলেও মোহাম্মদপুর বছিলা হাট, ধোলাইখাল খোকা মাঠ হাট, আমুলিয়া ও সারুরিয়া হাটে তোলা হয়েছে অনেক গরু-ছাগল। এবারের কোরবানির বড় গরু বিক্রির সঙ্গে একটি করে ছাগল ফ্রি দেওয়ারও ব্যবস্থা দেখা গেছে। ঢাকার উভয় সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী আগামীকাল ৮ আগস্ট থেকে  কোরবানির হাট শুরু হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তুতি নেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল গতকাল। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই হাটের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে নেন ইজারাদাররা।

 সিটি করপোরেশন থেকে বলা হয়, ঈদের দিনসহ আগের চার দিন রাজধানীর অস্থায়ী  কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে। এ ছাড়া নির্ধারিত স্থানের বাইরে হাট বসানো যাবে না। জনসাধারণের চলাচলে বিঘœ ঘটে, এমন কোনো স্থান, আবাসিক এলাকা, বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এসব স্থানের আশপাশে হাট বসানো যাবে না।

গতকাল আফতাবনগর হাট ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে কিছু সময় পরপর দেশের বিভিন্নস্থান থেকে হাটে প্রবেশ করতে থাকে  কোরবানির পশু বোঝাই ট্রাক। ট্রাক ঢুকাতে আর গরু নামাতে মাইকের ঘোষণায় নানা ধরনের দিক-নির্দেশনা দিতে থাকেন হাট পরিচালনাকারীরা। পশু বোঝাই ট্রাকের কারণে যাতে স্বাভাবিক যান চলাচলে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয় সেজন্য রাস্তায় সরব ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নাটোর, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জ থেকে আসতে থাকে বিভিন্ন আকারের গরু। নাটোর থেকে আনা ৩ লাখ টাকা দামের আনুমানিক ১০ মণ ওজনের একটি গরু তোলা হয়। গতকাল পর্যন্ত এটিই ছিল এ হাটের সর্বোচ্চ দামের গরু। আয়নাল খান নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জানালেন, বেলা ১২টার দিকে একটি গরু বিক্রির মধ্যদিয়ে তাদের হাটে বেচাবিক্রি শুরু হয়। ওই গরুর দামের বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে ৫ হাজার ৭৭৬ টাকা হাসিল আদায় হয়েছে। হাট ঘুরে নানান জাতের গরু দেখতে যায় আশপাশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের উৎসুক শিক্ষার্থীরা।

হাট শুরু স্থানের একপাশে রাখা ছিল নাটোরের অন্তত ৫০টি গরু। এখানে কথা হয় কামরুল নামে এক বেপারীর সঙ্গে। তিনি জানান, মোট ২০টি গরু এনেছেন। এগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দাম ৩ লাখ টাকার গরুটিও রয়েছে। এর সঙ্গে একটি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ফ্রি রয়েছে। আর সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা দামের গরুও রয়েছে তার কাছে। 

দুদিন আগেই কোরবানির পশু আসা শুরু হয় মোহাম্মদপুর-বছিলা হাটে। বেড়িবাঁধের কিছুদূর থেকে শুরু করে বছিলা ব্রিজের কাছাকাছি চলে গেছে এ হাট। এখানে তোলা হয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের গরু। তবে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর সংখ্যা ছিল বেশি। এখানে কার্ডের মাধ্যমে গরু কেনার ব্যবস্থাও রেখেছে খামারিরা। এদের কেউ কেউ আবার ফেসবুক পেজ খুলে বিজ্ঞাপনও দিচ্ছেন। 

মেরাদিয়া হাটে গিয়ে জানা যায়, এ হাট মেরাদিয়া বাজার থেকে শুরু করে দক্ষিণ বনশ্রীর প্রজেক্ট এলাকার বিভিন্ন অলিগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। মেরাদিয়া হাট থেকে কাজীবাড়ী পর্যন্ত সড়কের দুই পাশেই সারিবদ্ধভাবে গরু রাখা হয়েছে। এ সড়কে আবাসিক এলাকার অন্তত ২০টি সংযোগ সড়ক রয়েছে। প্রতিটি সড়কেই বসানো হয়েছে হাট। কিছু কিছু এলাকায় পশু রাখার জন্য বাঁশ ও খুঁটি লাগানোর কাজ চলছে।     

জানা গেছে, রাজধানীর অন্য হাটগুলোর মধ্যে উত্তর শাজাহানপুরের খিলগাঁও রেলগেটসংলগ্ন মৈত্রীসংঘের মাঠের হাট, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের পাশের হাট, শ্যামপুর বালুর মাঠের হাট, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গার হাট ও ধূপখোলার ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠের পাশের খালি জায়গা ও উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর গোলচত্বরসংলগ্ন খালি জায়গার হাটেও আসা শুরু করেছে কোরবানির পশু।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর