মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ধর্ষক-অপরাধীদের ডাটাবেজ করবে পুলিশ

সাখাওয়াত কাওসার

ধর্ষক-অপরাধীদের ডাটাবেজ করবে পুলিশ

নারী ও শিশু নির্যাতনসহ ধর্ষণের ঘটনা প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ লক্ষে নেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু উদ্যোগ। গতকাল ডিএমপির সদর দফতরে মাসিক অপরাধ সভায় এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কীভাবে অপরাধ কমানো যায়- সেই আলোকে কার্যকরী ব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন স্বয়ং ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। এই সভায় জানানো হয়, গত জানুয়ারিতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ১৭২টি মামলা হয়। যা বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। সম্প্রতি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ডিএমপি কমিশনার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষণ প্রতিরোধে পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন  পেশাজীবীদের নিয়ে সামাজিক সচেতনতা তৈরির তাগিদ দিয়েছেন। ধর্ষণ নিয়ে ডাটাবেজ তৈরি ও অপরাধীদের ডাটাবেজ তৈরির কাজ ত্বরান্বিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ডিএমপি হেড কোয়ার্টার্সে জানুয়ারি মাসের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ও পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। এ সময় রাজধানীর প্রত্যেকটি থানার ওসি  থেকে শুরু করে তদূর্ধ্ব পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও নারী ও শিশু নির্যাতন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়  সে বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশনার। এ ছাড়া চুরির মামলার ডিটেকশনেও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়েছেন তিনি। এদিকে ধর্ষণ নিয়ে গবেষণার উদ্যোগ সম্পর্কে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির উপদেষ্টা নূর খান লিটন বলেন, এটা সত্যিই একটা ভালো উদ্যোগ। তবে এ ধরনের গবেষণা একাডেমিশিয়ানদের দিয়ে কাজটি করানো উচিত। এক্ষেত্রে পুলিশের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত অনেক কাজে দেবে।  মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান বলেন, পুলিশের কাজ হচ্ছে মামলা  নেওয়া, সঠিক তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু  সেই কাজই তো তারা করছেন না। বিভিন্ন এলাকায় নারী ও শিশুরা যখন ধর্ষণের শিকার হন তখন পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মীমাংসার ব্যবস্থা করে থাকে। কাজেই তাদের পক্ষে ধর্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বরং তাদের যে কাজ  সেটি সঠিকভাবে করা উচিত।

সর্বশেষ খবর