শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বোনকে উত্ত্যক্ত করায় খুনের মাস্টারপ্ল্যান কিশোরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিশোধ নিতেই অভিনব এক খুনের পরিকল্পনা করে এক কিশোর। সে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। ২২ ফেব্রুয়ারি একই গ্যাংয়ের আরেক সদস্য আবদুর রব পাভেলকে (২২) খুন করে। এরপর লাশ কাওলা সিভিল এভিয়েশন কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ফেলে যায়। ওই রাতে লাশ উদ্ধারের পর পাভেলের মা ইয়াসমিন বেগম বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মঙ্গলবার ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-উত্তর)। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। ১৮ বছরের কম হওয়ায় ওই কিশোরের নাম প্রকাশ করেননি কর্মকর্তারা।  

গোয়েন্দা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে সে খুনের পরিকল্পনা করে। সে প্রথমে পাভেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। সে জানত-পাভেল মাদকাসক্ত। তার টাকার দরকার আছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে সে একদিন পাভেলের বাসায় যায়। লোভনীয় এক গল্প সাজিয়ে পাভেলকে শোনায়। পাভেলকে বলে- সে একদিন কবরস্থানের খেজুরের এক গাছের পাশে সোনার চেইন ঝুলতে দেখেছে। একদিন পাভেল একা খেজুরের গাছের কাছে যায় সোনার চেইন খুঁজতে। এরপর ওই কিশোর চূড়ান্ত আরেক পরিকল্পনা করে। সে পাভেলকে জানায়- তার ধারণা সোনার চেইন গাছের নিচে মাটিতে কোথাও পড়ে আছে। সে পাভেলকে নিয়ে সিভিল এভিয়েশন কবরস্থানে সোনার চেইন খোঁজা শুরু করে।

 সোনার চেইন খুঁজতে পাভেল যখন ব্যস্ত, ঠিক তখন ছুরি নিয়ে তার ওপর আক্রমণ চালায় ওই কিশোর। পাভেলের পেছনে দুবার ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে পাভেল। এ সময় তার মুখও ইটের আঘাতে থেঁতলে দেয়। এরপর কবরস্থানের পাশে পুকুরে গোসল সেরে বাসায় ফিরে আসে ওই কিশোর। পরনের কাপড় পরিবর্তন করে বিমানবন্দর থানায় গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে জানায়- সে কয়েকজন যুবককে পাভেলকে পেটাতে দেখেছেন। এ সময় সে পাভেলের পরিবারের সামনেও নানা নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। তার দেওয়া খবর পেয়ে বিমান বন্দরথানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পাভেলের লাশ উদ্ধার করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর