চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের জনসংখ্যা প্রায় চার লাখ। ভোটার প্রায় ৯২ হাজার এবং আয়তন ৩ দশমিক ১৬ বর্গকিলোমিটার। পক্ষান্তরে ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার, জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার এবং আয়তন শূন্য দশমিক ৭৫ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু বর্তমান করোনাভাইরাসের এই প্রকোপে চসিক সরকারিভাবে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তার ত্রাণ ছোট-বড় সব ওয়ার্ডে সমানভাবে বিতরণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সাত দফায় প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩ হাজার ২৪৬ প্যাকেট করে দেওয়া হয়। চসিকে ৪১টি ওয়ার্ড আছে। কাউন্সিলরদের দাবি, ওয়ার্ডের আয়তন, জনসংখ্যা, বস্তির সংখ্যা এবং নিম্ন আয়ের মানুষ অনুপাতে ত্রাণ দিলে সবাই পেত। কিন্তু এখন ছোট-বড় সব ওয়ার্ডে সমান ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে বড় আয়তনের ওয়ার্ডের অনেকেই এখনো একবারও ত্রাণ পায়নি, আবার ছোট আয়তনের ওয়ার্ডের একজন একাধিকবার পাচ্ছেন। তাই ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বড় ওয়ার্ডের গরীব-অসহায় মানুষরা। ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী বলেন, ‘চার লাখ বাসিন্দার ওয়ার্ড যে ত্রাণ পায়, ৪০ হাজার বাসিন্দার ওয়ার্ডও একই ত্রাণ পায়। এটি কেমন বিবেচনা বুঝি না। অথচ আমার ওয়ার্ডে ২৩টি বস্তিতে ৩৫ হাজার পরিবার বাস করে। তাই আমরা চাই, আয়তন ও জনসংখ্যা অনুপাতে ত্রাণের সুষম বণ্টন করা হোক।’
পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসমাইল বালি বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ ও ভোটার ২৫ হাজার ৩৭৫। ইতিমধ্যে ত্রাণ পেয়েছি ৩ হাজার ২৩৯ প্যাকেট। অথচ চসিক যে তালিকা দিতে বলেছে, অনেক বাচাই করার পরও ৬ হাজার জন হয়েছে। তাই আমরা চাই, জনসংখ্যা ও আয়তনভেদে ত্রাণ দেওয়া হোক।’
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ পাওয়া ত্রাণগুলো সরকারি নির্দেশনা মতে সমানভাবে বণ্টন করা হয়েছে। তবে ওয়ার্ডের আয়তন এবং জনসংখ্যার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের বিবেচনায় আছে। তাই বেশি জনসংখ্যার ওয়ার্ডগুলোকে বেশি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’