রবিবার, ১৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট সংগ্রহে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট সংগ্রহে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমে পর্যাপ্ত রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্বেচ্ছা রক্তদান কেন্দ্রগুলো থেকে প্রায় অর্ধেক রোগী রক্ত না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় রক্তের অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন এবং চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এই মৌসুমের ডেঙ্গু রোগীদের জন্য অপরিহার্য প্লাটিলেট সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। উল্লেখ্য, প্রতি ব্যাগ প্লাটিলেট সংগ্রহের জন্য একই গ্রুপের চার ব্যাগ তাজা রক্তের প্রয়োজন হয়। যার বড় অংশই স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়।

জানা গেছে, স্বেচ্ছা রক্তদানে দেশের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফরম কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, রেডক্রিসেন্ট রক্তকেন্দ্র, সন্ধানী, বাঁধনসহ সব সংগঠনেই রোগী ও তাদের স্বজনরা চাহিদামাফিক রক্ত পাচ্ছেন না। কোয়ান্টাম ল্যাব গত এক মাসে (১৪ এপ্রিল-১৩ মে ২০২০) বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা রোগীদের সরবরাহ করেছে ৪ হাজার ৫৭৪ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান। গত বছর একই সময়ে সরবরাহ করা হয়েছিল ৮ হাজার ৫৮৫ ইউনিট। অর্থাৎ, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাসিক সরবরাহ কমে গেছে ৪ হাজার ১১ ইউনিট। ফলে ৪ হাজারেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ৪৭ শতাংশ রোগী/রক্তগ্রহীতা রক্ত বা রক্ত উপাদান না নিয়েই ফিরে গেছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় তিন লক্ষাধিক রক্তদাতার একটি ডোনার পুল থাকায় তাদের কাছ থেকে রক্ত পাচ্ছে কোয়ান্টাম, যদিও তা বর্তমান চাহিদার তুলনায় অনেক কম। অন্যদিকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষাঙ্গনভিত্তিক সংগঠন সন্ধানী ও বাঁধন রক্ত সংগ্রহ করতে পারছে না। এসব প্রেক্ষাপটে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্লাটিলেটের প্রাপ্যতা নিয়ে বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

এ ব্যাপারে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান স্বেচ্ছায় রক্তদান করে হাজারো মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে দেশের রক্তদাতাদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। গতকাল তিনি জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে স্বেচ্ছা রক্তদান গত বছরের এ সময়ের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২৬ মার্চ থেকে কোয়ান্টাম ল্যাবের কর্মীরা মানবতার এই চরম মুহূর্তে ল্যাবের সব কার্যক্রম যথাসাধ্য চালু রেখেছেন। তিনি বলেন, রক্তদাতা কমে যাওয়ায় গত মাসে প্রায় অর্ধেক রোগী ও তাদের স্বজনদের আমরা রক্ত দিতে পারিনি। এ পরিস্থিতি আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর