শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

এক দিনে ১৩ চাকরির পরীক্ষা, ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিসিএসসহ ১৩ প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। একই দিনে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা নেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তারা বলেছেন, একাধিক পরীক্ষা নেওয়ায় বাধ্য হয়েই কয়েকটি পরীক্ষা বাদ দিতে হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৮২ চাকরি প্রার্থী এতে আবেদন করেছিলেন বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনের জনসংযোগ দফতর। এ ছাড়াও গতকাল নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের। এক দিনে এত পরীক্ষা নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। গোলাম সারওয়ার নামের এক চাকরি প্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রংপুর কেন্দ্রে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। তাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাকি কয়েকটি চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বয় করে আলাদা আলাদা তারিখ নির্ধারণের দাবি জানান তিনি। বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ছাড়াও একাধিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বিভিন্ন কলেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের ভিড় দেখা যায়। জানা গেছে, বিসিএসসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে সকালে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষা বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিসিএস প্রিলিমিনারি দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশী আরিফুর রহমান বলেন, টাকা খরচ করে আবেদন করেও বিকালের দুটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে এ ধরনের প্রহসন বন্ধ করা দরকার। গতকাল রাজধানীর রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও তিতুমীর কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, একই সময়ে একাধিক পরীক্ষা যেন না হয়, সে জন্য সমন্বয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে হবে।

আমরা শুধু পিএসসির পরীক্ষাগুলোই দেখতে পারি। অন্য পরীক্ষার সূচি নির্ধারণ আমাদের কাজ নয়।

রাজধানীর একাধিক কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, চাকরিপ্রত্যাশীর পাশাপাশি তাদের অভিভাবকরাও কেন্দ্রগুলোর সামনে ভিড় করছেন। কেন্দ্রের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব ছিল উপেক্ষিত। তবে পরীক্ষার্থীরা বলেছেন, পরীক্ষার হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপাদান ছিল। সামাজিক দূরত্ব মেনে তারা পরীক্ষা দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর