শনিবার, ২১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রণোদনার চাল না আসায় জেলে পরিবারে ক্ষোভ

সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

মৎস্য সম্পদ রক্ষায় গতকাল থেকে টানা ৬৫ দিনের জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এ জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সব জেলের জন্য সরকারি প্রণোদনার চাল বরাদ্দ না আসায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।  জেলেদের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা হিসেবে শরণখোলা উপজেলার ৪ হাজার সমুদ্রগামী জেলের মধ্যে ৩৭৪ জনের জন্য সরকারের প্রণোদনার চাল বরাদ্দ এসেছে। মোংলা উপজেলার ২ হাজার ৪০ জন সমুদ্রগামী জেলের মধ্যে ১ হাজার ১৫০ জনের বরাদ্দ আসে। একই অবস্থা বাগেরহাট সদর, রামপাল, কচুয়া, চিতলমারী ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায়। প্রণোদনার বরাদ্দ জেলেদের সংখ্যার অর্ধেকেরও কম আসায় বিপাকে পড়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। এদিকে মৎস্য বিভাগ বলছে, বাগেরহাট জেলায় কার্ডধারী ৩৯ হাজার ৬২৭ জন জেলে রয়েছেন। সরকারি প্রণোদনার চাল বরাদ্দ এসেছে ৫ হাজার ৯৩২ জনের অনুকূলে ৬ হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন। শরণখোলার সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, ‘আমার ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৪০ জন জেলের বিপরীতে বরাদ্দ মিলেছে ১১০ জনের। এখন এ চাল আমি কীভাবে বিতরণ করব।’ একই অবস্থা রায়েন্দা ইউনিয়নে, ১২০০ জেলের মধ্যে চাল এসেছে ১১০ জনের, খোন্তাকাটায় ৯০০ জেলের মধ্যে ১০৪ জন এবং ধানসাগরে ৫৮০ জনের মধ্যে মাত্র ৫০ জন জেলের চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় জানান, শরণখোলায় মোট জেলের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৪৪ জন। এর মধ্যে সমুদ্রগামী জেলে হচ্ছে ৪ হাজার। এখন মাত্র ৩৭৪ জন জেলের চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের জন্য প্রতি জেলে ৫৬ কেজি করে চাল পাবেন। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ খুবই কম পাওয়া গেছে।

তবে সব জেলে যাতে পায় সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হবে।

সর্বশেষ খবর