বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

হলমার্ক দেখে সোনার গয়না কিনুন : বাজুস

স্বর্ণের মানোন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময়

বিশেষ প্রতিনিধি

হলমার্ক দেখে মানসম্মত সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। সংগঠনটি বলেছে, সঠিক মানের সোনার গয়না কেনাবেচা নিশ্চিত করতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে ক্রেতাদের মান যাচাই করে সোনার গয়না কেনার অনুরোধ করেছেন বাজুস নেতারা। গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের লেভেল ১৯-এ বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত ‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন। সভায় বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেন, দেশে সোনার মান নিয়ন্ত্রণে যেসব ল্যাব রয়েছে তা আরও উন্নত করা জরুরি। এসব ল্যাব আধুনিকায়ন করতে হবে। হলমার্ক ছাড়া সোনার গয়না বিক্রি করা যাবে না। বাজুসের সাবেক সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যারা নিম্নমানের সোনার গয়না বিক্রি করছেন তাদের ওপর নজরদারি করতে হবে। বাজুসের একটি মনিটরিং টিম গঠন করে সোনার মানোন্নয়ন করতে হবে। বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন, যে কোনো মূল্যে সোনার মান ঠিক করতে হবে। সোনার গয়নার ক্রেতাদের ঠকানো যাবে না। দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ মানের গয়না বিক্রি করতে হবে।

বাজুসের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন বলেন, ‘এখন থেকে কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হলমার্ক ছাড়া সোনার গয়না বিক্রি করবে না, আবার ক্রেতারাও কিনবেন না। সঠিক মানের সোনার গয়না কেনাবেচা নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতাদেরও মান যাচাই করে সোনার গয়না কেনার অনুরোধ করছি। এ খাতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বাজুস।’

বাজুসের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, নিম্নমানের সোনার গয়না তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো চোরাকারবারির দায়িত্ব বাজুস নেবে না।

বাজুসের সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদ বলেন, যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সোনার গয়না বিক্রি করে তাদের আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশের বাজারে সোনার গয়নার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে। বাজুসের সহসভাপতি বাদল চন্দ্র রায় বলেন, কিছু কিছু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের সোনার গয়না বিক্রি হয়, এটা বন্ধ করতে হবে।

ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, হলমার্ক ছাড়া যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান সোনার গয়না বিক্রি করছে তাদের শোরুম পরিদর্শন করে হলমার্কযুক্ত গয়না বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগারওয়ালা, বাজুসের সহসম্পাদক সমিত ঘোষ, বাজুসের সহসম্পাদক ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান বিধান মালাকার, বাজুসের সহসম্পাদক জয়নাল আবেদিন খোকন ও লিটন হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল মিয়া, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের সদস্যসচিব ইকবাল উদ্দিন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর