সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ অটোমেশন চায় ঢাকা চেম্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ও কাক্সিক্ষত মাত্রায় রাজস্ব আহরণ না হওয়ায় সরকারকে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক থেকে লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি হারে ঋণ নিতে হচ্ছে। এর ফলে বেসরকারি স্থানীয় উৎপাদন খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যেতে পারে। রাজস্ব আহরণের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ অটোমেশন করতে হবে। বিদ্যমান রাজস্ব আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণ করতে হবে। রাজস্ব আহরণের নতুন নতুন খাত সৃষ্টি করে করজাল বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করেছে ঢাকা চেম্বার। গতকাল নতুন বছরের প্রত্যাশা নিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা চেম্বার জানায়, বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব বাংলাদেশের ক্রমবর্ধনশীল প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা স্থবির করেছে। এরপরও উদ্যোক্তাদের উদ্যোগী মনোভাব ও সরকারি-বেসরকারি খাতের যৌথ প্রচেষ্টা আমাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অনেকাংশে আশাবাদী করে তুলেছে। ২০২৩ সালে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আরও ত্বরান্বিত করবে। তবে এক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী উৎপাদনশীল শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন ও সহনীয় মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সহজে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ উন্নয়ন, ব্যবসার পরিচালন ব্যয় হ্রাস, স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক অবকাঠামোগত পরিবেশ উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত নির্ধারণ, সিএমএসএমইর জন্য ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা চেম্বার আরও জানায়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে প্রণোদনার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় মেটাতে কারেন্সি সোয়াপ-এর বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করে ডিসিসিআই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর