স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (২৯)। মোহাম্মদপুর থানার বছিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- বিল্লাল হোসেন, আল-আমিন হোসেন, সবুজ, রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল ও শফিকুল ইসলাম। শনিবার ঢাকার গাবতলী, ডেমরা, বছিলা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। তিনি বলেন, চার মাস আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্বামীর কাছে সন্তানদের রেখে গ্রামের বাড়িতে যান ওই নারী। এর মধ্যে কিছু না জানিয়ে স্বামী তাকে তালাক দেন। ২৫ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করতে তিনি ঢাকায় আসেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান। আগের ভাড়া বাসায় স্বামী-সন্তানকে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেন। বাড়ির মালিক, ভাড়াটিয়ারা কেউ তার স্বামী-সন্তানদের ঠিকানা দিতে পারেননি।  খোঁজাখুঁজি করে সন্তানদের না পেয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাত সাড়ে ৯টায় বছিলা চল্লিশ ফিট তিন রাস্তার মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য তিনি একটি রিকশায় ওঠেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে রিকশাচালক ওই নারীকে বছিলা ফিউচার টাউনের একটি জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করেন।

এরপর মোহাম্মদপুর থানায় খবর দিলে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ২৭ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়। তবে ভুক্তভোগী আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত করে।