শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে যুবলীগে গৃহদাহ

সামাজিক মাধ্যমে কাদা ছোড়াছুড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের অভ্যন্তরীণ সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়ার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা জারির পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই সভাপতি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় কাদা ছোড়াছুড়ি। এরই জের ধরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সংগঠনের আগামী নেতৃত্বে অর্থের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে।

যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৮ এপ্রিল রমজান আলীকে সভাপতি ও মোশাররফ হোসেন বাচ্চুকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর যুবলীগের কমিটি করা হয়।

এক যুগ পর ২০১৬ সালের ৪ মার্চের সম্মেলনেও রমজান আলী ও বাচ্চু নিজ নিজ পদে পুনর্নির্বাচিত হন। এ কমিটি মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও দায়িত্বে আছে।

সম্প্রতি ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি তাগাদা দিলেও তা হয়নি। এরপর সর্বশেষ পুরনো ওয়ার্ড কমিটি বহাল অবস্থাতেই নগর যুবলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয় কেন্দ্র থেকে। এর শেষ দিন ছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। কেন্দ্রীয় যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সভাপতি পদে ১০ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

সূত্র মতে, দীর্ঘদিন ধরে নগর   যুবলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে জোর প্রচারণা চালিয়েছেন তৌরিদ আল মাসুদ রনি। ১৯ ফেব্রুয়ারি জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত তার নেতা-কর্মীরা তাকে নিশ্চিত সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিতে থাকেন।

কিন্তু শেষ দিন ২০ ফেব্রুয়ারি নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল মোমিনের পক্ষে     সভাপতি পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে পরিস্থিতি বদলে    যায়।

রনি ও মোমিনের সমর্থকরা পরস্পরের              বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে শুরু করেন। এ নিয়ে এখন কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে   দুই গ্রুপে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর