পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্তির শেষ সময়ে ব্যাটারি চালিত হলুদ অটোরিকশার বৈধতা দিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। গতকাল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অটোরিকশা মালিক ও চালকদের হাতে টোকেন প্লেট, ব্লু-বুক এবং সিটি করপোরেশনের জ্যাকেট হস্তান্তর করেন সিটি মেয়র। এতে বেজায় খুশি অটোরিকশা চালকরা। এখন থেকে আর ট্রাফিক পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হবে না বলে প্রত্যাশা চালকদের। এদিকে, শিশু-কিশোর-বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের অটোরিকশা চালাতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মেট্রো পুলিশ কমিশনার। চালকদের ট্রাফিক আইনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। নগর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে অটোরিকশার বৈধতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র। পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর ২০ মার্চ থেকে হলুদ অটোরিকশার টোকেন নবায়ন ফি জমা নিতে শুরু করে বিসিসি।
সিটি করপোরেশনের বিগত পরিষদের সময় হলুদ অটোরিকশার ২ হাজার ৬১০টি টোকেন নম্বর দেওয়া হয়। তবে নগরীতে চলাচল করছে ১০ হাজারের বেশি হলুদ অটোরিকশা। বর্তমান মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় হলুদ অটোরিকশার টোকেন নবায়ন বন্ধ করে দেন। হালনাগাদ কাগজপত্র না থাকায় অটোরিকশাগুলো অবৈধ হয়ে যায়। হয়রানি এড়াতে অটোরিকশা মালিক-চালকরা হলুদ অটোরিকশার টোকেন নবায়নের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ১৬ মে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অটোরিকশা চালকদের এক সমাবেশে ৫ হাজার অটোরিকশার বৈধতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেয়র সাদিক। গতকাল বেলা ১১টায় নগরীর টর্চারসেল ও বধ্যভূমি এলাকায় প্রথম দফায় ৩০০ অটোরিকশা মালিক-চালকদের হাতে টোকেন প্লেট, ব্লু-বুক ও বিসিসির জ্যাকেট হস্তান্তর করেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এদিকে, অসুস্থ, শিশু-কিশোর এবং বয়স্কদের অটোরিকশা চালাতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম। অটোরিকশা চালকদের ট্রাফিক আইনের বিষয়ে শিগগিরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। নগর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হলুদ অটোরিকশার বৈধতা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। আসন্ন ঈদের আগে নগরীতে ৫ হাজার হলুদ অটোরিকশার বৈধতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।