বৈষম্যমূলক কাজকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনা করা হয়নি এবং সুস্পষ্টভাবে কোনো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি- প্রস্তাবিত বৈষম্যবিরোধী আইন সম্পর্কে এ কথা বলেছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। এ সংক্রান্ত একটি গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, আইনটিকে যথাযথ কার্যকর করতে হলে বৈষম্যমূলক কাজকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করতেই হবে।
গতকাল বিকালে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডব্লিউএমজিএল) কনফারেন্স রুমে দৈনিক কালের কণ্ঠ ও ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আইন ও আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কালের কণ্ঠ সহকারী সম্পাদক আলী হাবিবের সঞ্চালনায় বৈঠকে অংশ নেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, জাতীয় সংসদের হুইপ অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম, বিডিইআরএম সভাপতি উত্তম কুমার ভক্ত, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুনা সুলতানা, অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম, দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মণি রানী দাস, হোপ অ্যান্ড পিস ওয়েলকাম সোসাইটির সেক্রেটারি রানী চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগ প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাদিরা পারভীন ও ক্রিশ্চিয়ান এইড কান্ট্রি ডিরেক্টর নূজহাত জাবিন। গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, জন্মগতভাবে প্রতিটি মানুষ স্বাধীন এবং পূর্ণ মানবাধিকার ও সমমর্যাদার অধিকারী। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন, কর্মসংস্থান ও আইন সহায়তা প্রাপ্তি প্রভৃতি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে দলিত, হিজড়া, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার বিষয়ে সচেতন এবং কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার মাধ্যমে তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন সমুন্নত করে অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।