নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের আলোচনা শুরুর আহ্বান বাম জোটের। গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, জানমালের নিরাপত্তা, দখলদারিত্ব বন্ধ ও নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারের আলোচনা শুরু দরকার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ছাত্র গণ অভ্যুত্থানের পর ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সরকার গঠনে সব রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আগে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মতামত না নিলেও আমরা এ সরকারকে গণ অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনায় এগুনোর আহ্বান জানাচ্ছি। জোট নেতারা বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। তাই নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান, নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন না করলে প্রত্যাহার, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিসহ নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। এজন্য অবিলম্বে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করা এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানান তারা। একই সঙ্গে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাসহ দেশে যে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকান্ড, ধ্বংসযজ্ঞসহ অরাজক ও নৈরাজ্যকর সহিংসতা বন্ধ, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।