নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতাকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তাঁর যোগসাজশে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজনৈতিক ও পূর্বশত্রুতার জেরে ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে উপজেলার চরএলাহী বাজারে এ হামলা ঘটে।
নিহতের বড় ছেলে ইব্রাহীম তোতা অভিযোগ করে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমার বাবা চরএলাহী বাজারে তাঁর ব্যক্তিগত অফিসে বসে ছিলেন। ওই সময় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মেম্বার ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা বাবাকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। ওই সময় হামলাকারীদের দলে থাকা ৪০-৫০ জনের একটি দল আমার ভগ্নিপতি মিজানের দোকানেও হামলা চালায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি নেতা ইসমাইলের স্বপ্ন ইউপি চেয়ারম্যান হওয়া।
এজন্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত রাজ্জাক চেয়ারম্যানের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করে বাবাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।’
তোতার মেয়েজামাই মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার সময় রাতে চরএলাহী বাজারে ইসমাইল হোসেন ও মোস্তাফিজ মেম্বারের নেতৃত্বে এলাকায় ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামসহ বেলাল, খোকা, রিপন, এমরান, মামুন, হিরণ, আলমগীর আমার শ্বশুরকে তাঁরই অফিসে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মিছিলে বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারীদের ঢুকিয়ে হামলা চালান।’ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানাব।’ স্থানীয়রা জানান, তোতা চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবরে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন। জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’