ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী এবং এমপির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েকটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে, ঝালকাঠিতে সাবেক এমপি আমির হোসেন আমু ও ব্যারিস্টার শাজাহান ওমরসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদিকে, সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান, নোয়াখালীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক আইজিপি এবং কুমিল্লায় সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সব মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের আসামি করা হয়। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য।
ঝালকাঠি : সাবেক এমপি আমির হোসেন আমু ও ব্যারিস্টার শাজাহান ওমরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি বিজয় কুমার সরকার বাদী হয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ১৬২ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে আসামি করা হয়।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও দেড় থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, রণজিত সরকার, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস, পুলিশের এএসপি রাজন কুমার দাস, ওসি খালেদ চৌধুরী, এসআই রিয়াজ আহমদ প্রমুখ।
টাঙ্গাইল : মিছিলে হামলা ও গুলির অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুককে হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোয়াখালী : চাঁদাবাজির অভিযোগে নোয়াখালীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, তৎকালীন জেলা ডিবির পরিদর্শক মো. সাবজেল হোসেন, চৌমুহনী ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জামাল হোসেন, বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন ও মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) : সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, সাবেক পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন প্রমুখ।