খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সদস্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে শহরের চেঙ্গী স্কয়ারে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তির নাম পূর্ণমুখী চাকমা (৫৩)। তিনি প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের সদস্য বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর উপলক্ষে মিছিল বের করে দুই পক্ষ। স্বনির্ভর বাজার থেকে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সদস্যদের মিছিলটি চেঙ্গী স্কয়ারের পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় পূর্ণমুখী আহত হন।
পরে চেঙ্গী স্কয়ারে ইউপিডিএফের ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা। তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষের মদদে এ হামলা হয়েছে। এ সময় তাঁদের পক্ষের এক নারী সমর্থক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর বিক্ষোভ মিছিল করেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা। চেঙ্গী স্কয়ার থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি সূর্যশিখা ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কলিন চাকমা।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা অমর জ্যোতি চাকমা। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন উপলক্ষে আমাদের শোভাযাত্রা ছিল। আমরা র্যালি শুরু করার পরপর ওরা (ইউপিডিএফ) আমাদের ওপর হামলা করে। ইটপাটকেল ছোড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ উত্তেজনা ছিল। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গোলাগুলির কোনো খবর পাইনি।’