স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, বিগত দিনে পোস্টিং নিয়ে অনেক নিয়োগবাণিজ্য হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার নার্স ঘাটতি রয়েছে। এই প্রথম সাড়ে ৩ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তাদের ম্যানুয়ালি কোনো পোস্টিং দেওয়া হয়নি। যাতে মানুষ টাকা খেতে না পারে। পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অনেকে চয়েজ দিয়েছেন। তাদের মেধার ভিত্তিতে পদায়ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মানুষ উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গের মানুষ দক্ষিণবঙ্গে চাকরির বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে। এটি হলে পোস্টিং দিয়ে দুর্নীতি থাকবে না। গতকাল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সিন্ডিকেট ছাড়া কখনো হাসপাতাল চলেছে এটা বলা যায় না। দুর্নীতি অন্তর্বর্তী সরকারের আগে থেকেই ছিল। আমরা একাই এ বিষয়ে কিছু করতে পারব না। তাই জনগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি যেন ক্রয় কার্যক্রমে ইজিপির মাধ্যমে টেন্ডার আহ্বান করা যায়। তাহলে টেন্ডার নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা আগামী মাস থেকে শতভাগ ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাব। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসকদের নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যা বলেছেন তাদের খুঁজে বের করুন। যদি কেউ থাকে তবে তাদের কাউন্সিলিং করতে হবে।