সপ্তাহের প্রথমদিনে শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। তবে লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। এদিকে একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য ফেরত এবং মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার গেজেট বাতিল, কমিশনের পদত্যাগসহ আট দফা দাবিতে বিএসইসির সামনে বিক্ষোভ করেছেন পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শেষে সব খাত মিলিয়ে দাম বেড়েছে ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দাম কমেছে ১১৩টির। ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সে আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৩২ পয়েন্টে উন্নিত হয়েছে। তবে সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
বিএসইসির সামনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ : গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য ফেরত এবং মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার গেজেট বাতিলসহ আট দফা দাবিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সামনে বিক্ষোভ করেছেন পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতৃত্বে এ কর্মসূচিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিনিয়োগকারীরা বলেন, বর্তমান সরকার ও বিএসইসি কমিশনার এবং চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পুঁজিবাজারে পতন ঘটছে।পুঁজিবাজারের করুণ দশার জন্য অর্থ উপদেষ্টা এবং বিএসইসির চেয়ারম্যান দায়ী। ঘোষিত আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে অযোগ্য ও অদক্ষ বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দ্রুত অপসারণ। মার্জিন ঋণ বিধিমালা-২০২৫ এর গেজেট দ্রুত বাতিল। মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা-২০২৫ এর গেজেট বাতিল। একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য বিনিয়োগকারীদের ফেরতের ব্যবস্থা। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ না করার কারণে এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিএসইসির পুরো কমিশনের পদত্যাগ। বিএসইসির ভিতরে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে অপসারণ। শেয়ারমার্কেট লুটকারী ও মিউচুয়াল ফান্ড লুণ্ঠনকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি। পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত শেয়ার মার্কেটের লেনদেন স্থগিত রাখা।