করোনাভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে চীনের উহান শহরে। পরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ এই মহামারি ভাইরাস। তবে এবার উহান শহরে দিন দিন কমছে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা। সপ্তাহখানেক ধরেই প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ থাকা এই শহরে। ফলে শহরটির বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিসও দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে চীন সরকার।
গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে পুরো শহর অবরুদ্ধ করে ফেলা হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে মঙ্গলবার সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। করোনা ছড়ানোর পর শহরটিতে প্রথমবারের মতো যান তিনি।
করোনায় বিপর্যস্ত উহানে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। উহান ছাড়া হুবাইয়ের অন্য শহরগুলোয় কয়েক দিন ধরে নতুন কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি।
যদিও হুবেইয়ের উহান শহরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানিও ঘটেছে এই শহরে। এই উহানও যাতে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে সেই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। এ শহরে অবস্থিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার অফিসগুলি প্রথমে খোলা হবে। তবে এখনি চালু হচ্ছে না হুবেইয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আপাতত জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা হুন্ডা উহানে তাদের অফিস খুলেছে। ২০ মার্চের পরে আরও কিছু সংস্থা কাজ শুরু করবে। হুবেইয়ের অন্য শহরগুলির জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে ধীরে ধীরে। তবে উহান এখনও চীনের অন্য শহরগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন।
চিনপিং সরকার ঘোষণা করেছে, কোনো দেশ থেকে কেউ বেইজিংয়ে এলেই তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। অন্য দেশ থেকে নতুন করে এ ভাইরাস যেন চীনে না ঢুকতে পারে সে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চীনে করোনাভাইরাসের আক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৩১০০ ছাড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসে বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৩শ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪ হাজার ৬৩৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এছাড়া এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৬৮ হাজার ২৮৫ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বের ১২৪টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম