গোটা বিশ্বে এখন আতঙ্কের একটিই নাম ‘করোনাভাইরাস’। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৪৫টি দেশ ও অঞ্চলে। এতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮১০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪৩৬ জনের।
সারা দুনিয়া যখন করোনাভাইরাসের কালো মেঘে ছেয়ে আছে, তখন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের চিকিৎসায় আশার খবর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে যুগান্তকারী অগ্রগতির দাবি করলেন তারা।
কানাডার সানিব্রুক গবেষণা সংস্থা, টরেন্টো ইউনিভার্সিটি ও ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী ও গবেষক জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তারা করোনা ভাইরাসের গঠনকাঠামো আলাদা করতে ও তার প্রতিলিপি তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রতিলিপির মাধ্যমে বড় আকারে করোনা ভাইরাসের জীবতত্ত্ব বুঝে ওঠা যাবে। আর তা এ ভাইরাস শনাক্তকরণ, নিরাময়, প্রতিষেধক আবিষ্কারে ব্যাপক সহায়তা করবে। খবর নিউ ইয়র্ক পোস্টের।
এক বিবৃতিতে ওই বিজ্ঞানীরা জানান, সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত কানাডার দুই রোগীর শরীর থেকে তারা এ ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে গবেষণা চালান। এবং এক পর্যায়ে করোনার গঠনকাঠামো চিহ্নিত ও এর প্রতিলিপি তৈরিতে সক্ষম হন।
গবেষক দলে থাকা ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির এনএসইআরসি বিষয়ক পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো আরিঞ্জয় ব্যানার্জি বলেন, ‘আমরা কভিড-১৯ ভাইরাস সৃষ্টির নিয়ামক সার্স-কভ-২ ভাইরাসকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা এ বিষয়ক তথ্যউপাত্ত অন্য গবেষকদের জানাবো। একটা টিমওয়ার্কের মধ্য দিয়ে কাজ এগোবে।’
‘এভাবে ল্যাবে এ ভাইরাসের যতো প্রতিলিপি তৈরি করা যাবে গবেষণা ততো এগোবে। করোনা মহামারীর প্রতিষেধক আবিষ্কারে আমাদের প্রধান বিষয়গুলো খুঁজে বের করতে হবে। এ মুহূর্তে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু করাটা জরুরি। দরকারি গবেষণার মধ্য দিয়ে এই নভেল ভাইরাসের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
এদিকে প্রাণঘাতী কভিড-১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক উদ্ভাবনে চীনের ৮টি সংস্থা ৫ ধরনের গবেষণা চালাচ্ছে। আগামী মাসের মধ্যে তারা খুব জরুরি প্রয়োজনে ও মেডিক্যাল ট্রায়ালের জন্য এক ধরনের প্রতিষেধক উদ্ভাবন করতে পারবে বলে আশা করছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম